লোকসভা ভোটের সময় পুরোদমে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের ঝড় তুলেছিলেন দেব। কথা দিয়েছিলেন ভোটে জিতলেই রাজ্য সরকার শুরু করবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এর কাজ। সেই মোতাবেক এ দিন সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে মাপঝোপের কাজ শুরু হলো । লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে প্রায় দু সপ্তাহ আগে। তারই মধ্যে সেচ দপ্তরের সাথে বৈঠকও করে নিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।

 

প্রতিবছর বন্যায় ডুবে যায় ঘাটাল ও দাসপুর থানার বিস্তীর্ণ অঞ্চল, ফলে জল যন্ত্রণায় ভুগতে হয় এলাকাবাসীকে।

 

সম্ভবত ঘাটাল – মেছোগ্রাম রাস্তার বৈকন্ঠপুরে নতুন ব্রিজ তৈরি হবে। অন্যদিকে দাসপুর – মেদিনীপুর রাস্তার সুরতপুরেও নতুন ব্রিজ তৈরি করে জল নিকাশি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কার্যকরী হবে।

মাস্টার প্লানের পূর্ববর্তী কিছু পরিকল্পনার পরিবর্তন হলেও হতে পারে। তবে মূল উদ্দেশ্য বন্যার সময় বিস্তীর্ণ এলাকাবাসীকে জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেওয়া।

 

এর জন্য মূলত শিলাবতী ও কংসাবতী নদীর জলের চাপ কে কমানোর মাধ্যমেই এবং সেচ খালগুলিকে খননের মাধ্যমে এই কাজ সম্পন্ন করা হবে।

তৃতীয়বার লোকসভার ভোটের প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই সাংসদ দেব জানিয়েছিলেন কেন্দ্র সরকার টাকা না দিলেও রাজ্য সরকার নিজেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান এর জন্য কাজ শুরু করবে।

সেইমতো প্রাথমিক কাজ শুরু হলো। বিরোধীরা অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না। তাদের বক্তব্য এই প্লানের কাজটুকুই শুধু হবে , তার বাস্তব রূপ আর হবেনা।

কয়েক প্রজন্ম শুধু ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নামটা শুনেই গেল। দেখার সুযোগ পেলো না।

 

এখন দেখার বিষয় যে সত্যি সত্যি ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হয় কিনা? শুধু কি তাহলে তা কল্পনাতেই থেকে যাবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান ?

 

যেভাবে কাজের তোড়জোড় শুরু হয়েছে তা দেখে অবশ্য এলাকাবাসী আশায় বুক বেঁধেছেন।।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top