আমাদের চারটে পরিবার একসাথে ঠিক করে এই রাঁচি যাওয়ার প্ল্যানটা ঠিক করেছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম যে অন্ততপক্ষে তিন থেকে চার দিন রাঁচিতে থেকে সমস্ত জায়গা গুলো দেখে আসবো। যাতে অন্তত নেতারহাটের অংশটা ঘুরে আসতে পারি। কিন্তু দানা নামক ঘূর্ণিঝড় এসে পড়ায় আমাদের পরিকল্পনা কিছুটা কাটছাট করতে হয়। সে কথা পরে জানাচ্ছি।
এবার আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৮ ই অক্টোবর। পরিকল্পনা মতো আমরা ১৮ অক্টোবর পাঁশকুড়া স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করি।
আমাদের প্রধানত ট্রেনযাত্রা ছিল খড়্গপুর স্টেশন থেকে। রাত্রি প্রায় বারোটার কাছাকাছি আমরা খড়গপুর স্টেশন থেকে ক্রিয়াজোগা এক্সপ্রেস ট্রেন ধরে যাত্রা শুরু করি।
একটা কথা বলে রাখি। আমরা যখন পরিকল্পনা করছিলাম তখন আমরা উত্তরবঙ্গ যাওয়ার কথা ভাবনা চিন্তা করছিলাম। আর যেহেতু সেই সময় থেকেই টিকিট পাওয়া যাচ্ছিল না তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কাছাকাছি এরকম একটা রুটে যাবো, যেখানে মোটামুটি টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হবে না।
তাই আমরা স্লিপার ক্লাসের টিকিট কাটার চেষ্টাও করলাম। তাও পেলাম না। স্লিপার ক্লাসের টিকিট না পেয়ে অনেক ঘাটাঘাটি করে দেখলাম যে 3E তে কিছু সিট খালি রয়েছে।
অবশেষে আমরা এই 3E তে করেই যাওয়ার জন্য টিকিট কাটলাম। পেয়ে গিয়েছিলাম তাই সেটাতে যাত্রা করতে হবে। আগে থেকে একটু চিন্তা তৈরি হয়েছিল যে এই 3E বগিগুলো কেমন হবে।
বিশেষ করে আমরা যে সমস্ত স্লিপার কিংবা 3AC বা অন্য কোনো AC কোচে যাতায়াত করি সেগুলো সবটাই জানা। তাই এই প্রথম বার 3E তে যেহেতু যেতে হবে তাই একটু মনে মনে চিন্তা হচ্ছিল। তবে আমাদের কোচে ওঠার পর সমস্ত ভাবনা আমাদের দূর হলো। কারণ এই coach গুলিও যথেষ্ট ভালো শুধুমাত্র একটু সমস্যা যেটা রয়েছে সেটা হচ্ছে শীতের মাঝখানের যে গ্যাপ বা ফাঁকা অংশ থাকে সেটা তুলনামূলকভাবে একটু কম বাকি সমস্ত ব্যবস্থাই পণ্যগুলোর থেকে অনেক বেশি ভালো বলেই আমার মনে হয়েছে। তো যাই হোক আমাদের যাত্রা ভালোভাবেই শুরু হলো। যাত্রাপথের সমস্ত বিবরণী আপনাদেরকে ধাপে ধাপে জানাবো।
https://doctorbest.ru/
Your comment is awaiting moderation.