১৯৭১ সালের পর এই প্রথম, ভারতজুড়ে একযোগে শুরু হতে চলেছে যুদ্ধ পরিস্থিতি সামলানোর মহড়া। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে, দেশের ২৭টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ২৫৯টি নির্দিষ্ট স্থানে এই প্রস্তুতিমূলক মহড়া আয়োজন করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্গত ৩১টি স্থানও এতে অন্তর্ভুক্ত, যার মধ্যে রয়েছে খড়গপুর শহর।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী ধরনের ব্যবস্থা কার্যকর হতে পারে, তা যাচাই করতেই এই মহড়া।
মহড়ার সময় সাইরেন বাজানো হবে, এবং সাইরেন শোনার ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে সবাইকে ঘরে অথবা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ থাকবে। বন্ধ করতে হবে জানলা ও দরজা, নিভিয়ে ফেলতে হবে ঘরের সব আলো। মূল লক্ষ্য হলো জনসাধারণের মধ্যে জরুরি মুহূর্তে ঠান্ডা মাথায় কাজ করার অভ্যাস গড়ে তোলা।
মহড়ায় থাকবে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ, হঠাৎ অন্ধকার নেমে এলে কী করতে হবে সে সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা, এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ব্ল্যাকআউট কৌশল। এই সমস্ত ব্যবস্থা ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময়েও নেওয়া হয়েছিল।
এছাড়াও, মিলিটারি ঘাঁটি, বিদ্যুৎ কেন্দ্র কিংবা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা যাতে স্যাটেলাইটে ধরা না পড়ে, সে জন্য বিশেষভাবে আচ্ছাদনের অনুশীলন হবে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলিতে শেখানো হবে কীভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে হয় এবং মানুষকে দ্রুত সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিতে হয়।
এই মক ড্রিল আসলে দেশের নাগরিক ও প্রশাসনকে একটি সম্ভাব্য সংকট পরিস্থিতির জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত করার একটি প্রয়াস।
https://ithouse.pro/blog/novyy-keys-kley-dlya-upakovki
Your comment is awaiting moderation.
https://ithouse.pro/portfolio/electraline
Your comment is awaiting moderation.
https://ithouse.pro/portfolio/dm-lieferant
Your comment is awaiting moderation.